অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে আফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হয়? – Affiliate Marketing
(Affiliate Marketing) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
(Affiliate Marketing) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কোন প্রোডাক্ট অথবা সেবা (Service) বিক্রি করা এবং এই প্রোডাক্ট অথবা সেবা বিক্রয় এর বিপরীতে একটি % হারে কমিশন।
অর্থাৎ আপনি যদি কোন কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠান কোন নির্দিষ্ট পণ্য অথবা সেবা বিক্রয় করে দিতে পারেন তাহলে আপনি সেই কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠান বিক্রয়ের উপর 2%–70% পর্যন্ত কমিশন পাবেন। উদাহরণস্বরূপ মনে করুন যে আপনি alibaba.com থেকে একটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট তৈরী করে সেখান থেকে আপনি একটি গাড়ি বিক্রয় করলেন। যদি গাড়ির মূল্য 20 লাখ টাকা হয় তাহলে আপনি 5% কমিশন হারে 1 লাখ টাকা পাবেন।
(Affiliate Marketing)অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে কাজ করতে হয়?
(Affiliate Marketing) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যে সমস্ত কোম্পানিগুলো অফার করে থাকে তারা অটো সফটওয়্যার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট বিক্রয়ের উপর বিভিন্নভাবে কমিশন দিয়ে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে সাপ্তাহিক মাসিক অথবা বাৎসরিক যেকোনো সময় অনুযায়ী আপনি আপনার পেমেন্টগুলো তুলতে পারবেন।
প্রত্যেক কোম্পানির বেশ কিছু পণ্য অথবা সেবা থাকে এবং সেসব প্রডাক্ট অথবা সেবা আপনার ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়া, বা অন্য যেকোনো ডিজিটাল মার্কেটিং করে বাড়িতে বসে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
(Affiliate Marketing) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রোডাক্ট অথবা সেবা ৩ ধরনের হয়ে থাকে–
১। ডিজিটাল প্রডাক্টঃ- ডিজিটাল প্রোডাক্ট হল সেই সকল প্রোডাক্ট যেগুলো সাদৃশ্য নয় কিন্তু এদের ভার্চুয়াল ব্যবহার রয়েছে। যেমন: ই-বুক, ওয়েব হোস্টিং, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন, যেকোনো সফটওয়্যার, অনলাইন ক্লাস, ভিডিও ইত্যাদি। যারা Affiliate Marketing/অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় সেক্টর হলো ডিজিটাল প্রোডাক্ট। ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আপনি 5% থেকে 70% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন।
২। ফিজিক্যাল প্রডাক্টঃ- ফিজিক্যাল প্রডাক্ট হচ্ছে সেই সমস্ত প্রোডাক্ট যেগুলো আমরা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করে থাকি। যেমন: ইলেকট্রিক পণ্য, ফার্নিচার, পোশাক, খাবার ইত্যাদি। এই সকল প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে 2% থেকে 20% পর্যন্ত কমিশন পাওয়া যায়। এ সকল প্রোডাক্ট নিয়ে Affiliate Marketing/এফিলিয়েট মার্কেটিং যদি আপনি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডেলিভারির কথা মনে রাখতে হবে। কারণ আপনি যেসব কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করতে চাইবেন সেই কোম্পানি ঠিকমতো ডেলিভারি দিচ্ছে কিনা এই বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে আগে থেকে জেনে নিতে হবে।
৩। লীড জেনারেশনঃ (Affiliate Marketing)অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরো একটি অন্যতম জনপ্রিয় প্রোডাক্ট হচ্ছে লিড জেনারেশন, অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র তাদের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করবেন এবং আপনার ক্রেতারা তাদের ক্রেডিট বা টাকা খরচ করে সেই সব প্রোডাক্ট কিনতে হবেনা কিন্তু আপনি তা সত্বেও আপনার কমিশন পেয়ে যাবেন। যেমন: অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস সাইনআপ, ই-মেইল সাবস্ক্রিপশন, চ্যানেল সাবস্ক্রিপশন, অ্যাপস ডাউনলোড, অ্যাপস ইনস্টল, ভিডিও ভিউজ ইত্যাদি।
(Affiliate Marketing) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোথায় থেকে শিখবেন?
আপনি যদি প্রফেশনালভাবে Affiliate Marketing/অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে বিশদভাবে Affiliate Marketing/অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে হবে এবং এর জন্য আপনি ২টি মাধ্যম অবলম্বন করতে পারেন।
১। Free Affiliate Marketing/ফ্রি-অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখা– আপনি যদি Affiliate Marketing/অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে আপনাকে যে ২টি মাধ্যমে অবলম্বন করতে হবে তার মধ্যে একটি হলো ফ্রী মেথড। আপনি যদি আফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে আপনাকে ইউটিউবে আফিলিয়েট মারকেটিং সার্চ দিয়ে অনেক ধরনের রিসোর্স বা টিউটোরিয়াল দেখে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারবেন।
অথবা গুগল এফিলিয়েট মার্কেটিং লিখে সার্চ দিয়েও অনেক রিসোর্স পাবেন এবং সেগুলো দেখে দেখে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে অনেক ফ্রি ভিডিও টিউটরিয়াল অথবা ফ্রী আর্টিকেল পাওয়া যায়। এতে করে আপনার রিসার্চ করার সক্ষমতা অনেক গুণে বাড়বে এবং অর্থের খরচও হবে না।
২। Paid Affiliate Marketing/পেইড অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখা– এবং দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হচ্ছে অর্থ খরচ করে Affiliate Marketing/অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখা। আপনি যদি কোনো ট্রেনিং সেন্টার বা কোন কোর্স কিনে Affiliate Marketing/আফিলিয়েট মার্কেটিং শেখেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনি বিস্তারিতভাবে সব শিখতে পারবেন না এবং অনেক কিছুই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
সেই বিষয়গুলো পরবর্তীতে আপনাকে গুগল করে অথবা ইউটুবে সার্চ করে নিজে নিজে শিখে নিতে হবে। তারপরও আপনি যদি কোন ট্রেনিং সেন্টার অথবা কোন পেইড কোর্স জয়েন হন তাহলে আপনি Affiliate Marketing/অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের অনেক কিছুই খুব স্বল্প সময়ে শিখতে পারবেন।
(Affiliate Marketing) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়?
এখন কথা হচ্ছে যে আপনি অনেক কষ্ট করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখলেন, অনেক সময় ব্যয় করে ফ্রিতে অথবা পেইডভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখলেন। তাহলে এখান থেকে আপনি কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন? এ প্রশ্নের একটাই উত্তর এবং তা হল আনলিমিটেড।
আপনার যদি একটি উৎকৃষ্ট মানের ওয়েবসাইট থেকে থাকে অথবা খুব ভালো মানের ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে তাহলে আপনি যদি ওখানে কোন অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর লিংক দেন এবং সেই লিঙ্ক থেকে যত বেশি বিক্রয় হবে আপনি তত বেশি কমিশন পাবেন এবং এর কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি স্টান্ডার্ড পেশা। অর্থাৎ আপনার যদি একটি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং সেখানে যদি আপনার ভালো ভিজিটর অর্থাৎ কাস্টমার থেকে থাকে তাহলে আপনি সেখানে থাকুন বা না থাকুন 24 ঘন্টায় আপনার ইনকাম হতে থাকবে। যত বেশি বিক্রয় তত বেশি ইনকাম।
(Affiliate Marketing)অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কিভাবে কাজ করতে হয়?
আপনি যদি Affiliate Marketing/অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে এর জন্য আপনারা অবশ্যই একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট থাকতে হবে এবং ওই ওয়েবসাইটে প্রতিটি প্রোডাক্ট এর ভালোভাবে রিভিউ লিখতে হবে এবং অনেক কনটেন্ট থাকতে হবে। অথবা আপনাকে একটি খুব ভালো মানের ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিতে হবে যেখানে নির্দিষ্ট ভিজিটর আসবে। অর্থাৎ আপনি যে সকল প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন সে সকল প্রোডাক্ট রিলেটেড ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।
আর আপনি যদি ভাল ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। যেমন: ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া।
কিভাবে (Affiliate Marketing) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বেশি আয় করা যায়?
আপনি যদি Affiliate Marketing/অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি মার্কেটিং এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বেশি কাস্টমার অথবা ভিজিটরের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো সক্ষমতা আপনাকে অর্জন করতে হবে।
আমি নিচে কিছু রিসোর্স দিয়ে দিলাম যেগুলো অবলম্বন করলে আপনারা বিক্রয়ের পরিমাণ অনেক বাড়াতে পারবেন।
- সবসময় সঠিক প্রশ্ন নির্বাচন করা।
- রিসার্চ করার মাধ্যমে সঠিক কোম্পানি বা ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচন করা।
- সবসময় আপডেট মার্কেটিং পদ্ধতি অবলম্বন করা।
- ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং ভালোভাবে এস.ই.ও. করা।
- ভালো সেলের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করা।
- সবসময় সোশ্যাল সিগন্যালের প্রতি লক্ষ্য রাখা।