আপনি কি ঘরে বসে আয় করতে চান? আপনি কি অনলাইনে সহজ আয় করার কোন মাধ্যম খুজছেন? অথবা ইন্টারনেট থেকে কিভাবে বা কি করে আয় করবেন সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই লিখাটি আপনার জন্য। সম্পুর্ন লিখাটি পড়লে আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারি, আপনি নিজেও অনলাইন থেকে আয় করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবেন। আজকে আমরা শিখব এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কেন করবেন, কিভাবে করবেন আর এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সহজে প্রতিদিন কিভাবে ২০-৫০+ ডলার আয় করবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক…
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্য কোন ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পণ্য অনলাইনে মার্কেটিং করে কমিশন আয় করার সিস্টেম বা প্রক্রিয়া কে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনাকে কোন ব্যাক্তির জন্য কাজ করতে হবেনা, আবার আপনি কোন সেলারি বা বেতন ও পাবেন না। আপনি কাজ করবেন কমিশনের ভিত্তিতে। তারমানে, আপনি যদি কোন একটা কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে দিতে পারেন তাহলে আপনি একটা নির্দিস্ট কমিশন পাবেন। যেমন – A কোম্পানির একটা পণ্যের দাম ১০০ ডলার, সেই কোম্পানির মালিক বলল, যে ব্যাক্তি আমার এই পণ্যটি একবার বিক্রি করে দিতে পারবে, আমি তাকে ৫০% কমিশন দিব, তারমানে ১০০ ডলারের পণ্যটি একবার বিক্রি করতে পারলে আপনি প্রতিবার বিক্রির জন্য ৫০ ডলার করে কমিশন পাবেন। এভাবে একদিনে, এক সপ্তাহে, একমাসে যত বার বিক্রি করতে পারবেন ততবার আপনি কমিশন পাবেন। এই সিস্টেম কে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।
কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন?
এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি সহজ মাধ্যম ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার জন্য। কারণ এখানে আপনাকে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হয়না, কারো সাথে ইন্টার্ভিউ করতে হয়না, কেও কাজ দেয়ার জন্য বসে থাকতে হয়না। আপনি ইচ্ছা করলে যে কোন একটি প্রোডাক্ট পছন্দ করে সেই প্রোডাক্ট টি নিয়ে মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারেন, নিজের ইচ্ছা মত সময়ে, নিজের পছন্দ মত জায়গায় মার্কেটিং করে সেল আনতে পারলেই আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি সহজ ও বেস্ট মাধ্যম টাকা আয় করার অনলাইন থেকে। আনলিমিটেড আয় করার একটা সম্ভাবনা থাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে। যেমন আপনি যদি একদিনে ১০ টা প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন, তাহলে আপনি ১০ বার কমিশন পাবেন, ২০ বার সেল করলে পারলে ২০ বার কমিশন পাবেন। যত বার আপনি সেল করতে পারবেন ততবার আপনি কমিশন পাবেন। আপনি কত টাকা আয় করবেন এটা সম্পুর্ন নির্ভর করে আপনার কাজের উপরে ও মার্কেটিং এর উপরে। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরেক নাম হল পার্ফরমেন্স মার্কেটিং। কারণ আপনি কত টাকা আয় করবেন সেটা সম্পুর্ন নির্ভর করবে আপনার পার্ফরমেন্সের উপরে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন কিভাবে?
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে খুব বেশি কিছু জানতে হবেনা। মুটামুটি ইংরেজি লিখতে, পড়তে জানলেই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। শুধুমাত্র একটি সিম্পল ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। যে কোন একটি প্রোডাক্ট বা অফার সিলেক্ট করবেন মার্কেটিং বা প্রমোশন করার জন্য। তারপরে সেই অফার বা প্রোডাক্ট এর উপরে বেইস করে আপনাকে একটি ল্যান্ডিং পেইজ বানাতে হবে, যেখানে আপনি আপনার ভিসিটর বা ট্রাফিক সেন্ড করবেন। সেই ল্যান্ডিং পেইজে আপনার ট্রাফিক বা ভিসিটররা তাদের ইমেইল সাবমিট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক দিলেই তারা আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্ট পেইজে চলে যাবে। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুণ একটি সুন্দর ল্যান্ডিং পেইজের উদাহারন পাওয়ার জন্য। এফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রমোট করার অফার গুলো কোথাই পাবেন? ইন্টারনেট যত ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৭০% ওয়েবসাইট এফিলিয়েট মার্কেটিং সাপোর্ট করে। আপনি যে কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে পেইজের নিচের রো বা ফুটারে গিয়ে Affiliate অপশন টি খুজে বের করে, রেজিস্টার করে এফিলিয়েট হিসাবে জয়েন করতে পারবেন। এছাড়াও অনেক এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার এফিলিয়েট প্রোডাক্ট বা অফার রয়েছে। জনপ্রিয় কিছু এফিলিয়েট নেটওয়ার্কের লিস্ট নিচে দেয়া হল। ১। ক্লীকব্যাঙ্ক (Clickbank.com) ২। জেভিজু (JVZoo.com) ৩। ওয়ারিওরপ্লাস (WarriorPlus.com) ৪। ম্যাক্সওয়েব (MaxWeb.com) ৫। এডকম্বো (AdCombo.com) এমন আরও হাজারো এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক আছে। যে সব নেটওয়ার্কে জয়েন করে আপনি ও শুরু করতে পারেন এফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি লাগবে? ১। একটি কম্পিউটার ২। ইন্টারনেট কানেকশান এই দুই টি জিনিস আপনার কাছে থাকলে আপনি আজকে থেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। কি কি দক্ষতা লাগবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য? অন্য কাজ শিখার জন্য যেমন অনেক সময় দরকার পরে ও অনেক কিছু লাগে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য তেমন কিছুই লাগেনা। ১। অনলাইন মার্কেটিং জানতে হবে ২। ইংরেজিতে একটু দক্ষ হতে হবে এই দুইটি বিষয়ে আপনার জ্ঞাণ থাকলে আজকে থেকেই ঘরে বসে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনার অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। প্রতিদিন কত ঘন্টা সময় দিতে হবে? এফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি অনলাইন বিজনেস মডেল। এটির জন্য আহামরি সময় আপনাকে দিতে হবেনা। প্রতিদিন আপনি যদি ২-৩ ঘন্টা সময় দিতে পারেন। আপনি ঘরে বসে সহজে আয় করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং কে আপনি আপনার লাইফের ফুল টাইম ও লাইফ টাইম পেশা হিসাবেও নিতে পারবেন। এই কাজ টি আপনি আপনার অন্য জব, চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি ও করতে পারবেন। তবে যত বেশী সময় দিবেন তত বেশী আয় করতে পারবেন ও দ্রুত সফল হতে পারবেন। কত টাকা লাগবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য? এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য তেমন কোন টাকার ই প্রয়োজন পরেনা। একেবারে ফ্রি তে কোন টাকা খরচ না করেই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। তাও যদি বলি মিনিমাম কত টাকা লাগবে, সে ক্ষেত্রে একটি ডোমেইন কিনে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। একটি ডোমেইন মাত্র ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে কিনতে পাওয়া যায়। তাহলে আপনার কাছে যদি ১ টাকা ও না থাকে তাও আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন আর আয় ও করতে পারবেন। যেমন – www.mydomainname.com (ওয়েব সাইটের লিংক বা এড্রেস কে ডোমেইন বলা হয়।) আমার কাছে ১০০ ডলার এর মত বাজেট আছে আমি কি এফিলিয়েট মার্কেটিন করে সফহ হতে পারবো? অবশ্যই পারবেন ভাই। এফিলিয়েট মার্কেটিন শুরু করতে ও সফল হওয়ার জন্য জিরো ডলার লাগে। যদি আপনার কাছে বাজেট থাকে তো এটা আপনার জন্য প্লাস। অনেক কাজ আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। তবে টাকা বা ডলার না থাকলে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই, এক টাকা ছাড়া ও আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন ও সফল হতে পারবেন। কিভাবে প্রতিদিন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবেন তার সম্পুর্ন গাইডলাইন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিদিন ২০-৫০ ডলার আয় করাটা অনেক কঠিন কোন কাজ নয়, যদি একটু ধৈর্য, পরিশ্রম আর সঠিক গাইডলাইন নিয়ে লেগে থাকা যায় তাহলে আগামি ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভব। এখন আমরা শিখব কিভাবে আপনি ফুল এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সেট আপ করবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য।
ধাপ ১ঃ সর্বপ্রথমে আমরা একটি নিস সিলেক্ট করে নিব। নিস মানে হচ্ছে যে কোন এক প্রকারের প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির সর্বশেষ ছোট অংশ কে নিস বলা হয়ে থাকে। তারমানে ক্যাটাগরিকে ভাঙতে ভাঙতে সব থেকে ছোট অংশ কে নিস বলা হয়। যেমন – মার্কেট > ক্যাটাগরি > সাব-ক্যাটাগরি > নিস > কাপড় > শাড়ি > কাতান শাড়ি > ইন্ডিয়ান কাতান শাড়ি। তাহলে এখানে আপনার ব্যবসা হচ্ছে কাপড় নিয়ে, আর কাপড়ের মধ্যে হাজার ধরনের কাপড় আছে, আপনি শুধুমাত্র মেয়েদের শাড়ি নিয়ে ব্যবসা করবেন, আবার শাড়ির মধ্যে ও হাজার প্রকারের শাড়ি আছে, আপনার ব্যবসা হচ্ছে মহিলাদের ইন্ডিয়ান কাতান শাড়ি নিয়ে। আর এটাই হল আপনার নিস। ঠিক একিভাবে আপনাকে ও একটি সুনির্দিস্ট নিস সিলেক্ট করে কাজ শুরু করতে হবে। অনলাইনে কাজ করার জন্য সব থেকে জনপ্রিয় ক্যাটাগরি হচ্ছে ৩ টি। ১। হেলথ ও ফিটনেস ২। মেইক মানি অনলাইন ৩। ফ্যামিলি বা রিলেশনশিপ এই ৩ টি থেকে যে কোন একটি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে, সেই ক্যাটাগরি থেকে আপনি আপনার পছন্দ মত নিস খুজে বের করুণ। তবে আমি রিকমেন্ড করি মেইক মানি রিলেটেড অফার বা নিস নিয়ে কাজ করার জন্য। নিচের ছবিটি দেখুন ভালো করে।
ধাপ ২ঃ প্রথম ধাপে আমাদের নিস সিলেকশনের কাজ শেষ। এই ধাপে আমাদের কাজ হল যে কোন একটি ভালো মানের প্রোডাক্ট বা এফিলিয়েট অফার সিলেক্ট করা। প্রোডাক্ট বা অফার সিলেক্ট করার জন্য কিছু ক্রাইটেরিয়া মাথাই রাখবেন। ১। প্রতি সেল এ যেন আপনি মিনিমাম ৩০+ ডলার আয় হবে এমন অফার পছন্দ করুণ। ২। রিকারিং কমিশন দেয় এমন অফার পছন্দ করুণ। (একবার সেল হলে বার বার কমিশন পাওয়া যায় এমন অফার কে রিকারিং কমিশন বলা হয়।) ৩। ভালো ল্যান্ডিং বা সেলস পেজ আছে এমন অফার পছন্দ করুণ। ৪। মানুষের উপকারে আসে বা কোন সমস্যার সমাধান করে এমন অফার পছন্দ করুণ। ৫। ফ্রি ট্রায়েল বা মানি ব্যাক গ্যারান্টি আছে এমন অফার পছন্দ করুণ। এই ব্যাপার গুলো মাথাই রেখে অফার পছন্দ করলে আপনার অফার ভালো সেল হবে, আর আপনি ও ভালো আয় করতে পারবেন – ইন শা আল্লাহ। ক্লিকব্যাঙ্ক অফার এর ছবি।
ধাপ ৩ঃ এটা গুরুত্বপুর্ন ধাপ গুলোর মধ্যে অন্যতম, কারণ এই পর্যায়ে আমরা ল্যান্ডিং পেইজ বা আমাদের অপ্টিন পেইজ তৈরি করব। অপ্টিন পেইজ হল এমন একটি পেইজ, যে পেইজের মাধ্যমে আপনি আপনার সম্ভাব্য কাস্টোমারদের ইমেইল এড্রেস ও নাম কালেক্ট করে রাখতে পারবেন। কারণ আপনি যদি একটা সম্ভাব্য কাস্টোমার এর ইমেইল আইডি কালেক্ট করে না রাখেন, তাহলে আপনি ওই কাস্টোমার এর সাথে রিলেশনশিপ বিল্ডাপ করতে পারবেন না। আর সেলস ও মার্কেটিং এর সব থেকে গুরুত্বপুর্ন ধাপ হল, সম্ভাব্য কাস্টোমার এর সাথে পরিচিত হওয়া, ভালো সম্পর্ক তৈরি করা। কারণ মানুষ সব সময় পরিচিত বা ট্রাস্টেড ব্যাক্তির থেকে কোন কিছু কিনতে বেশি পছন্দ করে, একজন অপরিচিত ব্যাক্তির থেকে কিনার চেয়ে। আর আপনার কাছে সম্ভাব্য কাস্টোমার এর ইমেইল আইডি থাকলে আপনি সরাসরি তার ইমেইলে বিভিন্ন এফিলিয়েট অফার সেন্ড করতে পারবেন, আর আজীবন তার কাছে অনেক নতুন নতুন এফিলিয়েট অফার বার বার সেল করতে পারবেন। তাই আমাদের একটি অপ্টিন পেইজ দরকার। নিচের ছবিটি দেখুন অপ্টিন পেইজের আইডিয়া পাওয়ার জন্য। অপ্টিন পেইজ বা ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করার জন্য অনেক ফ্রি ও পেইড সফটওয়্যার রয়েছে অনলাইনে। যেমনঃ ১। ক্লিকফানেলস (ClickFunnels.com) ২। লিডপেজেস (LeadPages.com) ৩। ইন্সটাবিল্ডার (Instabuilder.com) ৪। ইন্সটাপেইজ (Instapage.com) ৫। পিউরল্যান্ডার (Purelander.com) এখান থেকে যে কোন একটি পেইজ বিল্ডার ব্যবহার করে আপনি আপনার অপ্টিন পেইজ তৈরি করতে পারবেন। তবে আমি সাজেস্ট করি Purelander.com ব্যবহার করার জন্য। পিউরল্যান্ডার ব্যবহার করতে কেন বলছি? এটি সব থেকে সস্তা কিন্তু অনেক ভালো একটি ল্যান্ডিং পেইজ বিল্ডার। আর এটা স্পেশালি তৈরি করা হয়েছে সিপিএ মার্কেটার ও এফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য। এটি আপনি ৬ মাসের জন্য মাত্র ২৫ ডলারে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আপনি যদি এই লিংক এর মাধ্যমে PureLander.com টি কিনেন, তাহলে আরও ৫ ডলার ডিস্কাউন্ট পাবেন, মানে মাত্র ২০ ডলারে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারবেন তাও ৬ মাসের জন্য। ডিস্কাউন্ট পেতে ক্লিক দিন এখানে >> এই অপ্টিন ফানেল এ সর্বমোট ২ টি পেইজ থাকবে – ১। অপ্টিন পেইজ ২। থ্যাংক ইউ পেইজ কাস্টোমার তাদের ইমেইল সাবমিট করে তারা অপ্টিন পেইজে চলে যাবে, সেই পেইজে তারা একটি লিড ম্যাগনেট পাবে। যা তারা ডাউনলোড করতে পারবে ফ্রি তে। এখন আপনি হয়ত জানতে চায়তে পারেন, লিড ম্যাগনেট আবার কি জিনিস? আপনার সম্ভাব্য কাস্টোমার যখন আপনার ল্যান্ডিং পেইজে আসবে তখন তাদের ইমেইল টা আপনার পেইজে সাবমিট করার জন্য তাদের কে ফ্রি তে ভ্যালুএবল কোন টিউটোরিয়াল, পিডিএফ বা সফটওয়্যার দিতে হবে, যা দিয়ে তার কোন সমস্যার সমাধান হবে, বা তার উপকার হবে। আর এই ফ্রি গিফট কেই বলা হচ্ছে লিড ম্যাগনেট। তাহলে আপনার দেয়া গিফট বা টিউটোরিয়াল বা ইবুক টি পাওয়ার জন্য হলেও সেই ব্যাক্তি তার মূল ইমেইল আইডি আপনার অপ্টিন পেইজে সাবমিট করবে। কারণ আপনার গিফট টি আপনি শুধুমাত্র তার মেইলে সেন্ড করবেন। অন্যথায় সেই ব্যাক্তি ভুল বা ফেইক ইমেইল ও দিতে পারে।
ধাপ ৪ঃ এই ধাপের কাজ হল ইমেইল মার্কেটিং করা। আপনি ইতি মধ্যে অনেক টার্গেটেড কাস্টোমার এর ইমেইল আইডি পাবেন, কারণ তারা আপনার দেয়া ফ্রি গিফট টি নেয়ার জন্যই তারা আপনাকে তাদের ইমেইল এড্রেস টি দিয়েছিল। ফ্রি গিফট এর পাশাপাশি এখন আপনাকে আপনার এফিলিয়েট অফার টির লিংক তাদের ইমেইলে সপ্তাহে ৩-৪ বার করে পাঠাতে হবে। আর আপনি সব থেকে বেশী আয় করতে পারবেন এই ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। আপনার কাছে যদি ১০০০ টার্গেটেড ব্যাক্তির ইমেইল আইডি থাকে আর আপনি যদি তাদের সাথে ভালো রিলেশনশিপ তৈরি করতে পারেন আর প্রতিদিন আপনার এফিলিয়েট অফার লিংক সেন্ড করেন তাহলে প্রতিদিন ই আপনি ৫-১০ টা এফিলিয়েট অফার সেল করতে পারবেন অনায়াসে। কিন্তু প্রতিদিন বসে বসে সবাইকে মেইল সেন্ড করা অনেক কঠিন ও দুরূহ কাজ, আর তাই আপনার এই কাজকে সহজ করতে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে যে কোন একটি ভালো মানের ইমেইল অটোরেস্পন্ডার সফটওয়্যার। এই অটোরেস্পন্ডার সফটওয়্যার এর কাজ হচ্ছে, যে ইমেইল গুলো প্রতিদিন আপনার অপ্টিন পেইজ থেকে কালেক্ট হচ্ছে, সেই ইমেইল গুলোতে আপনার সেট আপ করে দেয়া ইমেইল গুলো প্রতিদিন সেন্ড করা একটা নির্দিস্ট সময়ে। পাশাপাশি এই সফটওয়্যার আপনাকে দেখাবে, কত জন কে ইমেল পাঠানো হয়েছে, কত জন সেই ইমেইল টি ওপেন করেছে, কতজন আপনার দেয়া এফিলিয়েট লিংক এ ক্লিক দিয়েছে সব কিছু দেখতে পারবেন। তাই অপ্টিন পেইজের সাথে আপনাকে একটি ইমেইল অটোরেস্পন্ডার সেট আপ করতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে বেস্ট অটোরেস্পন্ডার হল – ১। GetResponse ২। Aweber ৩। ActiveCampaign ৪। ConvertKit ৫। MooSend ৬। SendinBlue ৭। ConstantContact ৮। SendPulse আমি প্রেফার করি আপনি শুরুতে Coders Heaven IT এর ইমেইল অটোরেস্পন্ডার সফটওয়্যার টি ব্যবহার করেন, কারণ এটি অনেক ভালো একটি সফটওয়্যার ও এটি একবার কিনলে আপনি লাইফ টাইম ফ্রি ইমেইল সেন্ড করতে পারবেন। ইমেইল অটোরেস্পন্ডার সফটওয়্যার টি কেনার জন্য এই লিংক এ ক্লিক দিন >>>
ধাপ ৫ঃ এটি ই হল এই কোর্সের সর্বশেষ ধাপ। আর এটি ই হল মূল ও প্রধান অনলাইন থেকে আয় করার জন্য। ট্রাফিক বা ওয়েবসাইট ভিসিটর। যে দোকানে যত কাস্টোমার ঢূকবে সেই দোকানে তত বেশী বিক্রি হবে এটাই স্বাভাবিক, তাই না? ঠিক একি ভাবে, যে ওয়েবসাইট বা ল্যান্ডিং পেইজে যত বেশী ট্রাফিক বা ভিসিটর আপনি সেন্ড করতে পারবেন, তত বেশী সেল আপনি করতে পারবেন আর তত বেশী আয় আপনি করতে পারবেন। এফিলিয়েট অফার প্রমোট করার জন্য অনেক ট্রাফিক সোর্স আছে, একেকজন একেকটি তে সফল। আপনি ২ ভাবে এফিলিয়েট অফার প্রমোট করতে পারবেন। ১। পেইড মেথড ২। ফ্রি মেথড পেইড মেথডের মধ্যে বেস্ট হল – ১। সোলো এড ২। নেটিভ এড ৩। ইউটিউব এড ৪। গুগল এড আর ফ্রি মেথডের মধ্যে বেস্ট হল – ১। ইউটিউব ভিডিও ২। ফেইসবুক মার্কেটিং ৩। ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং ৪। পিন্টারেস্ট মার্কেটিং এখান থেকে যে কোন একটি ট্রাফিক সোর্স আপনি যদি ভালো করে শিখতে পারেন, সেটাই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। খুব বেশী ট্রাফিক সোর্স ব্যবহার করার দরকার পরবেনা সফল হওয়ার জন্য। মাত্র একটি ট্রাফিক সোর্স থেকে প্রতিদিন ১০০-২০০ টার্গেটেড ট্রাফিক বের করে আনতে পারলেই আপনি প্রতিদিন ৫০-১০০ ডলার আয় করা কোন ব্যাপার হবেনা। এই হল এফিলিয়েট মার্কেটিং ফুল গাইডলাইন। খুব সহজ ও সিম্পল। কিন্তু আপনি নতুন হওয়ার কারণে আপনার কাছে একটু কমপ্লেক্স বা জটিল মনে হতে পারে। কিন্তু শিখলে যে কোন কিছুই সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য। আজকের যারা বেস্ট এফিলিয়েট মার্কেটার তারা ও কোন এক সময় আপনার মত ছিল। কিছুই জানতোনা। কিন্তু কাজ করতে করতে, লেগে থাকতে থাকতে, শিখতে শিখতে আর করতে করতে আজ তারা বিশ্বের সেরা এফিলিয়েট মার্কেটার। বিশ্বের সেরা কয়েক জন এফিলিয়েট মার্কেটার এর নাম নিচে দেয়া হল। ১। Patt Flynn ২। Finch Sells ৩। Charles Ngo ৪। Ian Fernando ৫। Doug Cunnington
এখন আপনি হয়ত জানতে চায়তে পারেন, কিভাবে শিখব এফিলিয়েট মার্কেটিং?
এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখার জন্য বেস্ট একটি মাধ্যম হল গুগল ও ইউটিউব। কিন্তু সমস্যা একটাই গুগল ও ইউটিউবে এত বেশী তথ্য ও টিউটোরিয়াল দেয়া আছে, যেটা দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখা টা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই আমার সাজেশন হচ্ছে, যে কোন একজন ভালো মেন্টর থেকে স্টেপ বাই স্টেপ এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখাটা হবে আপনার জন্য বেস্ট কাজ। আর এই ক্ষেত্রে Coders Heaven IT আপনাদের জন্য তৈরি করেছে ৩ দিনের সুপার এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স। যে কোর্সে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর শুরু থেকে শেষ সব কিছুই জানতে পারবেন এই এক কোর্সের মধ্যে। উপরে যে যে ব্যপার গুলো নিয়ে আমি লিখেছি, সেই সব গুলো ব্যপার এই কোর্সের মধ্যে স্টেপ বাই স্টেপ ভিডিও আকারে দেখানো হয়েছে। কিছু বুঝতে সমস্যা হলে রয়েছে লাইফ টাইম সাপোর্ট ব্যবস্থা। তাই আর দেড়ি না করে এই কোর্সে এনরোল করার জন্য নিচের দেয়া ফর্মে এ আপনার নাম আর ইমেইল আইডি দিয়ে এনরোল করুণ। অথবা ৩ দিনের এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্সে জয়েন করতে এই লিংক এ ক্লিক দিন >> ৩ দিনের এফিলিয়েট মার্কেটিং চ্যালেঞ্জ এ জয়েন করতে এখানে ক্লিক দিন